নিজস্ব প্রতিনিধি: রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেছেন, যারা বঙ্গবন্ধুকে মানে না তাদের উচিত পাকিস্তানে চলে যাওয়া। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় থাকাকালে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ বাজাতে নিষিদ্ধ করেছিলো। পরে বিএনপি জামাত ক্ষমতায় এসেও বঙ্গবন্ধুকে ছোট করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু সেই ভাষণ আজ বিশ্ব স্বীকৃতি পেয়েছে।
সোমবার বিকালে রাজধানীর আইডিয়াল কলেজে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও মঞ্চ নাটক পরিবেশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, পাকিস্থান আমলেও আমরা বাঙ্গালি ছিলাম, কিন্তু তারা অত্যাচার, নির্যাতন করত বাঙ্গালিদের উপর। এই নির্যাতন নিয়ে কেউ কোন সময় প্রতিবাদ করতে পারত না। মুসলিম লীগের তৎকালীন নেতা সবুর খান, মনিম খানসহ অনেকে সব সময় পাকিস্থানের তাবেদারি করতেন এবং জ্বি হুজুর জ্বি হুজুর করতেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কখনও তাবেদারি করেনি। তাই বঙ্গবন্ধুর আহবানে দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধের পর স্বাধীনতা আসে। কিন্তু সেই বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে একটি রাজনৈতিক দল সব সময় অপ-প্রচার চালিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা আজ বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন খুব অল্প সময়ে। আজ বিশ্বের বড় বড় নেতা ও মনিষীরা শেখ হাসিনাকে অনুসরণ করেন এবং বলেন “গো বাংলাদেশ ফলো শেখ হাসিনা”।
এর আগে কলেজের গভর্নি বোর্ডের সভাপতি এ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক জসিম উদ্দীন আহম্মেদ, উপাধ্যক্ষ মুজিবুর রহমান, কলেজের গনিত বিভাগের চেয়ারম্যান গোলাম আহসান।
অধ্যক্ষ জসিম উদ্দীন আহম্মেদ বলেন, আজকের দিনে বঙ্গবন্ধু’র আহবানে দেশের মানুষ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। আজ আমরা স্বাধীন হয়েছি, কিন্তু একটি শ্রেনী আমাদের ইতিহাসকে মুছে দেবার চেষ্টা করছে। তারা বঙ্গবন্ধুকে বাঁচতে দেইনি। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার জন্য আজ দেশ উন্নত বিশ্বের দাড় প্রান্তে। আমরা বীরের জাতি, তাই তো বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে আইডিয়াল কলেজ সব সময় চেষ্টা করছে। সব সময় আমরা কলেজের শিক্ষার্থীদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সম্পর্কে জানিয়ে দেশকে সোনার বাংলা গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে উন্নত জাতি হিসেবে সোনার মানুষ হতে পারি এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারি সে চেষ্টা সকলের থাকতে হবে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে মন্ত্রীকে কলেজের পক্ষ থেকে স্মারক সম্মাননা দেওয়া হয়। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় এবং ‘রাজাকারনামা’ মঞ্চ নাটক পরিবেশিত হয়।